লোহা গরম করে মুসলিম বন্দির পিঠে ‘ওম’ লিখলেন জেলসুপার! Latest Update News of Bangladesh

শনিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ০৭:২৫ পূর্বাহ্ন

বিজ্ঞপ্তি :
Latest Update Bangla News 24/7 আপনার চারপাশে ঘটে যাওয়া নানা খবর, খবরের পিছনের খবর সরাসরি ভয়েস অব বরিশালকে জানাতে ই-মেইল করুন- inbox.voiceofbarishal@gmail.com অথবা hmhalelbsl@gmail.com আপনার পাঠানো তথ্যের বস্তুনিষ্ঠতা যাচাই করে আমরা তা প্রকাশ করব।*** প্রতিনিধি নিয়োগ চলছে!! বরিশাল বিভাগের সমস্ত জেলা,উপজেলা,বরিশাল মহানগরীর ৩০টি ওয়ার্ড ও ক্যাম্পাসে প্রতিনিধি নিয়োগ চলছে! ফোন: ০১৭৬৩৬৫৩২৮৩




লোহা গরম করে মুসলিম বন্দির পিঠে ‘ওম’ লিখলেন জেলসুপার!

লোহা গরম করে মুসলিম বন্দির পিঠে ‘ওম’ লিখলেন জেলসুপার!




অনলাইন ডেস্ক: ভারতের তিহার কেন্দ্রীয় কারাগারের এক বন্দিকে নির্মমভাবে মারধর ও উপোস করতে বাধ্য করার পর গরম লোহার শিক দিয়ে পিঠে ‘ওম’ লিখে দেয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে।শুক্রবার নতুন দিল্লির চাণক্যপুরীতে এই কারাগারের সুপারিনটেন্ডেন্টের বিরুদ্ধে মারাত্মক এ অভিযোগ করে সেখানকার এক মুসলিম বন্দি।

তিনি জানান, প্রতিদিনই চলত মারধর৷ ঠিকমতো খেতেও দেয়া হতো না৷ এখানেই শেষ নয়, লোহার শিক গরম করে পিঠে লিখে দেয়া হয়েছে ‘‌ওম’৷

নাবির নামে ওই বন্দিকে অবৈধ অস্ত্র চোরাচালান মামলায় জেল হেফাজতের মেয়াদ বৃদ্ধি করার জন্য পেশ করা হয়েছিল দিল্লির কড়কড়ডুমা আদালতে৷সেখানেই এ অভিযোগ তোলেন নাবির। এরপর সবার সামনে নিজের জামা খুলে বিচারপতিকে দেখান তার পিঠের চিহ্নটি। দেখা যায় প্রায় ছয় ‌ইঞ্চি বড় ওই ‘‌ওম’‌ চিহ্নটি তার বাঁ কাঁধের একটু নিচে খোদাই করা।

তবে সঙ্গে সঙ্গেই এ অভিযোগ অস্বীকার করে জেল কর্তৃপক্ষ। তাদের ব্যাখ্যা যদি জোর করে চিহ্নটি খোদাই করা হতো, তাহলে এতো সুষ্ঠুভাবে সেটি সম্পন্ন হতো না।

এ ঘটনায় বিচারপতি জেল কর্তৃপক্ষের ওই বক্তব্যকে বিশ্বাস না করে, ঘটনার পূর্ণাঙ্গ তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন।

এর তদন্তভার তুলে দেয়া হয়েছে কারা বিভাগের ডেপুটি ইনস্পেক্টর জেনারেল অব প্রিজনের ওপর।

রায়ে বিচারপতি বলেন, ‘‌ঘটনার প্রয়োজনীয় সিসিটিভি ফুটেজ সংগ্রহ করা হবে। এছাড়া অন্য বন্দিদের জবানবন্দিও নেয়া হবে। জেলের বন্দিদের নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করার বিষয়টি যাতে অত্যন্ত মনোযোগ দিয়ে পর্যবেক্ষণ করা হয়, সেই ব্যাপারেও নির্দেশ দেয়া হলো কারা কর্তৃপক্ষকে’‌।

অবৈধ অস্ত্র সরবরাহের অভিযোগে দোষী নাবিরকে রাখা হয় তিহারের জেল নম্বর ৪-এ। ওয়ার্ডটি অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ ওয়ার্ড হিসেবে কুখ্যাত।

তদন্তটি ঠিকভাবে সম্পন্ন করার জন্য তিহার জেলের পক্ষ থেকে আদালতকে আরো কিছু সময়ের জন্য আবেদন জানানো হয়েছে। তাদের পাল্টা অভিযোগ, ‘অনেক ভয়ঙ্কর হত্যাকারীও রয়েছে এ কারাগারে। তারা অনেক সময় জেল কর্তৃপক্ষের মনে ভয় সৃষ্টি করার জন্য এ ধরনের কাজ করে।’

তবে যতদিন না তদন্ত রিপোর্ট আসছে, ততদিন ওই মুসলিম বন্দিকে অন্য ওয়ার্ডে স্থানান্তরের নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।

সোশ্যাল মিডিয়াতে শেয়ার করুন



Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *










Facebook

© ভয়েস অব বরিশাল কর্তৃক সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত
Developed BY: AMS IT BD